দূর্গা
পুজা হিন্দু বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। কিন্তু কে এই দেবী দূর্গা ?
কিভাবে তিনি পৃথিবীতে আসলেন? কিভাবে বিয়ে হলো দূর্গা আর মহাদেবের। এর নানা রকম
গল্প আছে। দ্বিতীয় পর্বে তার তার সতী রুপের দিকে নজর দেয়া যাক ।
পুরাণ মতে দূর্গার সতী রুপ : (দ্বিতীয় পর্ব)
দূর্গাকে কন্যারুপে
পাবার জন্য তপস্যা করতে থাকেন ঋষি দক্ষ। দক্ষের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তার
পত্নী বীরিনীর গর্ভে মহাময়া বা দূর্গার জন্ম হয় । নাম রাখা হয় সতী। শর্ত ছিল দূর্গা
মহাদেবকে বিয়ে করবেন এবং দূর্গাকে যদি
যথাযত সম্মান না করা হয় তবে তিনি দেহত্যাগ করবেন। শর্তে রাজি ছিলেন দক্ষ।
কিন্তু
মহাদেব ও দূর্গার বিয়ের এক বছরই গল্ডগোল শুরু হয়। মহাদেব দক্ষকে যথাযথ সম্মান না
করায় তিনি মহাদের উপর বিরুপ হন এবং এক মহাযজ্ঞে তাদের দুজনের কাউকে নিমন্ত্রন করেন
না ।
এতে দূর্গা ভীষন রাগ
হয়ে বিনা নিমন্ত্রণে যেতে চাইলে মহাদেব যেতে বারন করেন। যদিও দূর্গার অনুরোধে পরে
তাকে যেতে দেন মহাদেব। যজ্ঞ
স্থলে দক্ষ মহাদেবের নিন্দে করলে, পতির নিন্দে সহ্য করতে না পেরে দেহত্যাগ করে
দূর্গা । এই মৃত্যু খবর শুনে ক্রুদ্ধ মহাদেব নিজের জটা খুলে ফেললে
বীরভদ্র জন্ম লাভ করে। সে যজ্ঞ পন্ড করে দেয় এবং মুন্ডচ্ছেদ করে ।
মহাদেব সতীর মৃতদেহ কাধে নিয়ে তান্ডব নৃত্য করতে থাকলে
পৃথিবীর ধ্বংসের উপক্রম হয় । দেবতা বিষ্ণু তার চক্র দিয়ে ৫১ খন্ডে দুর্গার দেহ
খন্ডিত করে পৃথিবীকে রক্ষা করে। দূর্গার ঘন্ডিত দেহ পৃথিবীর ৫১টি স্থানে
পড়ে। প্রতিটি খন্ড যেখানে পড়ে সেখানে একটি
মহাপীঠ উৎপন্ন হয়। এই স্থানগুলো হিন্দুদের কাছে পবিত্র স্থান হয়ে যায় । অন্য আরেক মতে দেবী দূর্গার খন্ডিত দেহের কিছু অংশ পৃথিবীতে বাকি অংশ আকাশ গঙ্গায় নিয়ে যায়।
(চলবে...)
শিল্পিত পারু
লেখক ও কবি