হোলি
আর্টিজান মামলার রায়ে ৭ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। রায়ে ৮ আসামীর মধ্যে এজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে
ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইবুনাল। বিচার শুরু হবার এক বছরের মাথায় এই রায়
দিল আদালত ।
ফাসির
দন্ড পাওয়া সাত আসামি হলেন রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান ওরফে রাফিউল ইসলাম, রাজিব গান্ধি
ওরফে জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মোহাম্মদ হাদিসুর
রহমান সাগর ওরফে সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন, শরিফুল ইসলাম খালেদ ।
রায়ে
আদালত বলেছেন, হামলার মুল পরিকল্পনাকারি হলেন তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান আর
সরোয়ার জাহান । এই তিন জনের পরিকল্পনায় জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী পরিকল্পনা
ও প্রশিক্ষন দিয়ে, রাকিবুল হাসান প্রশিক্ষন ও প্ররোচনা দিয়ে, আব্দুস সবুর
পরিকল্পনা ও অনুমোদন দিয়ে গুলশান হোলি আর্টিজানের হামলায় জড়িত ছিলেন ।
এছাড়া
অস্ত্র ওগুলি আনা নেওয়া করে আসলাম হোসেন, অস্ত্র সংগ্রহ করেন হাদিসুর রহমান সাগর,
অস্ত্র সরবরাহ করেন মামুনুর রশীদ আর হামলার পরিকল্পনা করেন শরিফুল ইসলাম খালেদ ।
মিজানুর
রহমানের খালাসের ব্যাপারে আদালত বলেছেন, কোন আসামী তাদের জবানবন্দিতে উল্লেখ
করেনি, মিজানুর গুলশানের হোলি আর্টিজান হামলার বিষয়ে জানতো বা কোনভাবে জড়িত ছিল ।
এই হামলায় মোট ২১ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছিল তদন্তকারি সংস্থা। এরমধ্যে ঘটনার
দিন নিহত হয় ৫ জন জঙ্গি। এরা হলেন রোহান ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, সামেহ মোবাশ্বের,
শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম পায়েল । এরপর
পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায় ৮ জন জঙ্গী আর এখন ফাঁসির রায় হলো ৭ জনের, বাকি একজন বেকুসুর খালাস ।
১ লা
জুলাই এর ঘটনায় নিহত হয়েছিল নিরাপদ ২২ জন মানুষ। যার মধ্যে ছিল ইটালীর ৯ জন, জাপানের
৭ জন, একজন ভারতীয় বাকি ০৫ জন ছিল বাংলাদেশি নাগরিক । এছাড়া ভোরে কমান্ড অভিযান
শেষে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল নারী শিশুসহ ১৩ জনকে ।
উল্লেখ ২০১৬ সালে ১লা জুলাই গুলশানের হলি
আর্টিজান বেকারিতে হামলায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ । আর আজকের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ।
0 Comments