মোহনা জান্নাত ।।
২৬ ডিসেম্বর হয়ে গেল বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ । পৃথিবীর মানুষ ১৭২ বছর পর এমন বলয়
সূর্যগ্রহণ উপভোগ করলো ।সবচেয়ে ভালোভাবে এই সূর্যগ্রহণ দেখতে পেয়েছে
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদিআরবের মানুষেরা। পৃথিবীর অন্য প্রান্তের মানুষেরাও বাদ
যাননি মহাজাগতিক এই সৌন্দর্য্য উপভোগ থেকে । আমরাও ঢাকা থেকে আংশিক সুর্যগ্রহণ
দেখতে পেয়েছি।
ঢাকায় সূর্যগ্রহণ শুরু হবার সময় ছিল ৯ টার একটু পরে । আমরা ঠিক সময় বাড়ির ছাদে
পৌছে গেলাম । সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ কোন ব্যবস্থা আমাদের ছিল না। তবু
সূর্যগ্রহণের সময় ঢাকার আকাশ ও শহরটা কেমন হয় তাই দেখতে চেয়েছি আমার ।
গত কয়েকদিন থেকে শীতের কুয়াশায় কাবু হয়ে আছে ঢাকা। আকাশে অনেক মেঘ । সূর্য
একবার বের হচ্ছে আরেকবার ঢেকে যাচ্ছে। আজকের সকালে তবু কিছুটা আলো আছে।
। যদিও বিশেষ চশমা ছাড়া এই সূর্যগ্রহণ
দেখা ঝুকিপূর্ণ তবু আগ্রহীরা নিজস্ব ব্যবস্থা এই সৌন্দর্য্য দেখার চেষ্ঠা করছি কালো চশমা আর এক্সরে পেপারের মধ্যে দিয়ে ।
এরই মধ্যে সুর্যগ্রহণ শুরু হয়ে গেছে । সূর্যের একটি অংশ কালো হয়ে গেছে । অনেকটা সূর্য দেখতে অনেকটা চাদের মতো হয়ে গেছে ।
মেঘ আর কুয়াশায় পুরো স্পষ্ট না হলেও সূর্যগ্রহণ বোঝা যাচ্ছে । তবে ঢাকার আকাশ পুরো
পুরি অন্ধকার হয়ে যায়নি।স ক্যামেরায় সেই বিরল দৃশ্য ধরা খুবই মুশকিল ।
এছাড়া আমরা নিরাপদ
পিনহোল পদ্ধতিতে সুর্যগ্রহণ দেখার চেষ্টা করলাম। কিন্তু তাতে সফল হলাম না ।
ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও রোদচশমা আর কার্বন পেপারেই অনেকেই দেখে নিয়েছে ঢাকার সূর্যগ্রহণ । এবার আমরা জানালার থাই গ্লাসে পড়া সুর্যের
প্রতিবিম্বতেও এই দৃশ্য দেখার চেষ্টা
করেছি । সবকটি পদ্ধতিই ঝুকিপূর্ণ তবুও এই
বিরল সূর্যগ্রহণ দেখার লোভ সংবরণ করতে পারিনি ।
ভালো পদ্ধতি থাকলে অথবা আবহাওয়া ভালো থাকলে হয়ত আরো ভালোভাবে এই দৃশ্য আমার দেখতে পেতাম। আংশিক
হলেও ১৭২ বছর পর বিরল এই সূর্যগ্রহণ ঢাকা
থেকে দেখার অভিজ্ঞতাও কম নয় ।
0 Comments