পড়ুন! না পড়েছেন তো সকলের নিচে পড়ে থাকবেন



ড.মো. রুস্তম আলী ।

পড়ুন! না পড়েছেন তো সকলের নিচে পড়ে থাকবেন/ Read, otherwise you will be at the bottom of those who read.
বিশ্বের দীর্ঘকালের ১নং ধনী ব্যক্তি ওয়ারেন্ট বাফেট শুধুই পড়েন। বিলগেটস তাকে টপকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত সেই ১ নং ধনী ছিলেন। এখন ৮৫ বছর বয়স, তবুও পড়েন। তার একমাত্র কাজই পড়া। সেই বাল্যকাল হতেই পড়েন। ১৬ বছর বয়স হবার আগেই হার্ভার্ড এ ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু বয়স কম বলে ভর্তি করেনি। পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্বিবদ্যালয় এ নিয়ে দু:খ প্রকাশ করেছে।
অপর দীর্ঘকালের শীর্ষধনী বিলগেটস কে বলা হয় Voracious reader. যা পাই তাই পড়ে। পড়তে পড়তে এতই পাকা হয়ে গিয়েছিল যে হার্ভার্ডে ভর্তি হয়ে এক বছর কাটানোর পর তার মনে হয়েছিল আরও ৪ বছর এখানে কাটানো সময়ের অপচয়। যা ভাবা তাই, বাবাকে টেলিফোন করলো তার মনে হচ্ছে আরও ৪ বছর হার্ভার্ডে পড়ে থাকা ঠিক হবে না, শুনে তার বাবা উত্তর দিল, তুমি যদি তাই ভাল মনে কর তাহলে তাই কর।
দুই বার নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী Linus Pauling, সেই ছোটবয়স থেকে এতই পড়তো যে, তার ধারে কাছে যত বই ছিল সব পড়া হয়ে গিয়েছিল। তার ক্ষুধা মিটানোর জন্য অনেক দুর হতে বই এনে দিতে হত।
গুগল এর প্রতিষ্ঠাতা ল্যারিপেজ আরেকজন পড়ার ওস্তাদ। পড়তে পড়তে মাত্র ১২ বছর বয়সেই সে উপলব্ধী করেছিল সে যদি বিজ্ঞানী হয় তবে আগে ব্যবসা শিখতে হবে। তা না হলে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী/আবিষ্কারক টেসলার মত শেষ বয়সে কস্টকর জীবনযাপন করতে হবে। ল্যারিপেজ একাই বিশ্বের সব বই আর সব পথের ম্যাপ মানুষের হাতের মুঠোই এনে দিয়েছেন।
জাপানীরা এতই পড়ে যে সে দেশে Yumuri Shimbun নামের খবরের কাগজ এখনও ১২ মিলিয়ন কপি ছাপে প্রতি দিন। মাত্র ১২৫ মিলিয়ন লোক সেদেশে।
পড়তে তো হবে, না পড়লে কি হয়? তার উত্তর হচ্ছে, খুব দামী কম্পিউটার কিনলেন, শুধু দামিই না, সব থেকে সেরা সুপার কম্পিউটার এর মালিক হলেন। কিন্তু কিভাবে চালাতে হবে কেও আপনাকে শিখালো না, বা নিজের হতেও খুব আগ্রহের অভাবে শুধু সেটা দিয়ে লুডু খেললেন, তা হলে কেমন হবে? ভাবুন।
মানুষের ব্রেইন হলো এখন পর্যন্ত যত ক্ষমতাশালী কম্পিউটার আবিস্কার হয়েছে তার হতে শত শত না হাজার হাজার গুন বেশি ক্ষমতাশালী। কিন্তু চালাতে না জানলে শুধু লুডুই খেলবেন। আবার ধরুন বিরাট আধুনিক লেটেস্ট মডেলের কারখানা খুলে, বিদ্যুত, গ্যাস, পানি সংযোগ, ম্যানেজার/ লোক নিয়োগ দিলেন। কিন্তু কাচামালের সরবরাহ করলেন না। তাহলে কেমন হবে?
আমাদের ব্রেনটি হচ্ছে Biological dull machines, এর কাচামাল হচ্ছে, সেন্স এবং তথ্য। যত বেশি শিখবেন একে ততবেশি কাজে লাগাতে পারবেন। না শিখেছেন তো, যারা বেশি শিখছে তাদের পিছনে পড়ে থাকতে হবে। যে দেশের মানুষ বা যে জাতী বেশি শিখেছে তাদের আয়ত্বে চলে যেতে হবে। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।

ফেসবুক থেকে

Post a Comment

0 Comments