স্বর্ণমন্দির : পাহাড়ের চুড়ায় একটি ফুল

নীল মৌমাছি ।।


স্বর্ন মন্দির । স্থানীয়দের কাছে কিয়াং নামে পরিচিত । যার এর আরেকটি নাম  বুদ্ধ ধাতু জাদি, ধাতু মানে পবিত্র ব্যক্তির ব্যবহৃত বস্তু এটি বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা বড় হীনযান বৌদ্ধ  মন্দির ।এই স্বর্ন মন্দিরে কিন্তু কোন স্বর্ন নাই, সোনার মত  রং তাই এই মন্দিরে নাম স্বর্ন মন্দির।  আমরাও কয়েক বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম বান্দরবানের এই সুন্দর মন্দিরটি দেখতে চলুন আপনাদেরও নিয়ে যাই সেখানে।

ঢাকা থেকে বান্দরবান ৩২৫ কিলোমিটারের পথ । মারমা ভাষায় বান্দরবানের নাম রদ ক্যওচি ম্রো বান্দরবান শহর থকে ৪ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে কয়েক বন্ধু মিলে আমার এসে পৌঁছালাম  বান্দরবনের বালাঘাটা এলাকায় ।

আমাদের এই ভ্রমন গ্রুপের নাম দেয়া হয়েছে বিগ ১৫’।এই নামের পিছনের কারনটি খুব সহজ২০১০ সালের শেষের দিকে যখন আমার টেলিভিশন নামক আজব এক কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হই তখন এক সাথে জয়েন করেছিলাম ১৫ জন ,  যাদের মধ্যে এখনও আমাদের হৃদ্যতার সম্পর্ক আছে এখন আর কেউই একই কর্মস্থলে নাই, তাই একবার ঘুরতে বের হয়েছিলাম সবাই মিলে।  মাত্র ৮  জন শেষ পর্যন্ত একত্রিত হতে পেরেছিলাম প্রথম ও সম্ভবত শেষ বাবের মত ।

স্বর্ন মন্দিরে যাবার আগেই চলল কিছুক্ষন ফটো শুট । তারপর  পাহাড় বেয়ে উপরে ওঠা মন্দিরের পরিত্রতা রক্ষার্থে হাফ প্যান্ট, লুঙ্গি ও জুতা পায়ে যাওয়া নিষেধ । তাই  মন্দিরে আসার আগে খেয়াল রাখতে হবে হবে নইলে বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন ।  বেশ খানিকটা পাহাড় বেয়ে শেষে পৌঁছালাম স্বর্ন মন্দিরে ।

স্থানীয় মারমাদের কাছে মন্দিরটি কিয়াং নামে পরিচিত । এই এলাকার মারমা জনগোস্ঠি হীনযান বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। মুলত তাদের জন্য ২০০০ সালে এই স্বর্ন  মন্দিরটি বানানো হয় । চীন ও থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ মন্দিরে আদলে বার্মার স্থাপত্যবিদদের তত্ববধায়নে মন্দিরটি নির্মান হয় । জাদিটি যেখানে সেই মুল বেদিতে দর্শনার্থদের যাওয়া নিষেধ । বাহিরে কিছু বৌদ্ধের মুর্তি আছে । আর ভিতরে বুদ্ধের যে মুর্তি আছে সেটি বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম বুদ্ধের মুর্তি ।



পিছনের নীল আকাশ আর পাহাড়ের উপর এমন একটি সুন্দর পবিত্র স্থানে গেলে আপনার মন নিশ্চই ভরে উঠবে । তাই আপনারাও সুন্দর মন্দিরটি ঘুরে আসতে পারেন ।



নীল মৌমাছি
পর্যটক